Sunday, March 29, 2015

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান:Time News

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান স্টাফ রিপাের্টার টাইম নিউজ বিডি, ২৯ মার্চ, ২০১৫ ১৯:৫৩:১২ দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু’ নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। রোববার বিটিআরসির ওয়েবসাইটে এ দরপত্র প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য কক্ষপথের স্লট ভাড়া নিতে রুশ প্রতিষ্ঠান ইন্টারস্পুটনিকের সঙ্গে চ
ুক্তি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি। ইন্টারস্পুটনিকের কাছে থাকা ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ কক্ষপথটি ভাড়া নিতে এর আগে প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছিল। ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত চুক্তি করেছিল বিটিআরসি। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এটিএম মনিরুল আলম এবং ইন্টার স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনালের মহাপরিচালক ভাদিম ই বেলভ। এসময় বিটিআরসি চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিস্টেম বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রাক-ডিপিপি ২০১২ সালের ডিসেম্বরে নীতিগত অনুমোদন দেয় পরিকল্পনা কমিশন। গত বছরের মাঝামাঝি পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পের ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) পাঠানো হয়। ডিপিপি অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণে গত বছরের সেপ্টেম্বরে পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রকল্পের অর্থায়ন সংক্রান্ত বেশকিছু নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী ডিপিপি সংশোধনও করা হয়। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয়ে অরবিটাল স্লট সংগ্রহ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। ডিপিপি অনুযায়ী, প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থ ১ হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লাখ ও বাকি ১ হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করবে তারা সরবরাহ করবে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটির প্রাথমিক মেয়াদ ধরা হয় ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। তবে ডিপিপি অনুমোদন পিছিয়ে যাওয়ায় এর বাস্তবায়নকাল পুনর্নির্ধারণ করা হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, স্যাটেলাইট দরপত্রে সংশ্লিষ্ট স্যাটেলাইটের মূল অংশ তৈরি, উৎক্ষেপণ, গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ ও বিমা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর পাঁচ বছরের মধ্যে প্রকল্পের ব্যয় উঠে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণে মূল পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল (এসপিআই)। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজ হচ্ছে- উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য বাজার পর্যবেক্ষণ, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, আইটিইউয়ের সঙ্গে তরঙ্গ সমন্বয়, স্যাটেলাইট সার্ভিস ডিজাইন, স্যাটেলাইট আর্কিটেকচারাল ডিজাইন, সিস্টেম ডিজাইন, দরপত্র প্রস্তুত, ম্যানুফ্যাকচারিং ও সুষ্ঠুভাবে উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণের কাজ করবে। এ ছাড়া জনবল তৈরিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া। বিটিআরসির হিসাবে, দেশের একেকটি টিভি চ্যানেল বিদেশি স্যাটেলাইটগুলোকে ভাড়া বাবদ বছরে প্রায় দুই লাখ ডলার দেয়। সে হিসাবে বর্তমানে ১৯টির বেশি টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে বছরে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার ভাড়া দিতে হচ্ছে। দেশের নিজস্ব উপগ্রহ হলে এ অর্থ দেশেই থাকবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি দেশের জন্য ব্যবহার করা হবে। বাকিগুলো বিক্রি করা যাবে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, নিজস্ব স্যাটেলাইট থাকলে বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৫ কোটি ডলার আয় করতে পারবে। ইআর


No comments:

Post a Comment