
গকারী সংস্থাগুলো আবারো কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে আন্দোলনরত বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করছে।’ এতে রিজভী সম্প্রতি ঢাকার দুটি ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ‘গত পরশু রাতে রাজধানীতে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে তার মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এছাড়া নড়াইলের পৌর কমিশনারের লাশ ঢাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।’ বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘শুধুমাত্র বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকারি বাহিনীগুলোকে মানবতাবিরোধী গুম, গুপ্তহত্যার অবাধ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এই অবৈধ সরকার দেশকে হত্যা ও লাশের মহামারীর দেশে পরিণত করার জন্য পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করছে।’ তিনি বলেন, ‘এই ভোটারবিহীন সরকার এজেন্টদের দিয়ে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাতে হরদম মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে। অধিকাংশ গণমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কব্জা করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কুৎসা আর অপপ্রচারের ধুম চালানো হচ্ছে।’ রিজভী বলেন, ‘তবে আওয়ামী লীগ যা বলে এবং প্রচার চালায় ঠিক তার উল্টোটাই জনগণ বিশ্বাস করে। সুতরাং জনগণের দাবি হচ্ছে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ঘোষণা করা।’ তিনি বর্তমান সংকট নিরসনে সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা আবারো তুলে ধরেন। রিজভী বলেন, ‘ইতোমধ্যে দশের অধিক বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যার সংবাদ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করছে পুলিশ-র্যা ব, যাকেই পাওয়া যাচ্ছে, তাকেই সেখান থেকে তুলে নিয়ে হয়তো বা সেখানেই অথবা অন্য কোনো অজ্ঞাত স্থানে গুলি করে হত্যা করার পর লাশ উদ্ধার দেখাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পূর্বাপর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাসা থেকে কিংবা অন্য কোনো জায়গা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে চিরদিনের জন্য গায়েব অথবা কয়েকদিন পর তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকার মতোই বর্তমান চলমান আন্দোলনে আবার সেটারই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে।’ রিজভী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি দলের বেপরোয়া ক্যাডারদের ভয়াল তাণ্ডবে দেশবাসী বিমূঢ়, হতভম্ব ও আতঙ্কিত। অবৈধ ক্ষমতাসীনদের বন্য প্রতিহিংসার এমন ভয়াবহ চিত্র অন্য কোনো দেশে বিরাজমান আছে কী না সন্দেহ।’ বিবৃতিতে চলমান অবরোধের পাশাপাশি র্যা ব-পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা, গুপ্তহত্যা ও বিভৎস দলন-পীড়নের প্রতিবাদে বুধবার থেকে শুরু হওয়া ঢাকা মহানগরীসহ ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল সফল করার জন্য ২০-দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও দেশের সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানান বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment