Tuesday, January 27, 2015

সব দিতে হবে :Natun Barta

লিফটে ঢুকতে ঢুকতে আজকের শিডিউলটা মনে মনে এক বার ঝালিয়ে নিল জয়ব্রত৷ গোটা পাঁচেক মেল এক্ষুনি খুলতে হবে এবং উত্তর দিতে হবে, চারখানা প্রোজেক্টের পেপার কাল সাবমিট করেছে জুনিয়ররা, এক্কেবারে ক্লোজিং আওয়ার্সে, সেগুলো চেক করতে হবে, হেড অফিসে সেই মর্মে রিপোর্ট দিতে হবে, কুলকার্নির সঙ্গে সিঙ্গাপুরের কনফারেন্সটা নিয়ে মিটিং আছে, বসতে হবে- আর? যাক্, শিডিউলারটা দেখে নিলেই হবে৷ নো টেনশন৷ সব শালটে নেওয়া যাবে৷ জয়ব্
রতর মনটা আর বেশ ফুরফুরে৷ অফিসের বেসমেন্ট গ্যারেজে কালকে কেনা ওর নতুন অডি গাড়িটা স্মুদলি প্লেস করে এসেছে ও মিনিট কয়েক আগেই৷ কালই কিনেছে গাড়িটা৷ ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস দিয়ে যখন হু হু করে উড়ছিল ও, তখন নিজেকে ওর মনে হচ্ছিল প্রিন্স৷ ফেয়ারি টেল-এর হিরো৷ যেন ওর এই স্বপ্নের ম্যাট-এ চেপে ও দেখা করতে চলেছে ওর ফেয়ারি কুইনের সাথে৷ কিন্তু ফেয়ারি কুইনের রোলটা যেন কে করছে? কে আবার? অবভিয়াসলি অ্যালকালুসেন্ট৷ ওর কোম্পানি৷ এগারো তলায় পৌঁছে প্রতি দিনের মতোই, ল্যান্ডিং-এর বুলেট প্রুফ বজ্রবাঁধুনিতে সেট করা উইন্ডোতে আটকে গেল জয়ব্রত৷ কী অপূর্ব লাগে এখান থেকে এই শহরটাকে৷ যেন কেউ বহু যত্নে ডিটেলে একটা ছবি এঁকে রেখেছে এক বিস্তারিত ক্যানভাসে৷ এখান থেকে শহরটা ছবির মতোই সুন্দর, আর ছবির মতোই নিষ্প্রাণ৷ এত উঁচু থেকে কোনও কোলাহল, কোনও শোরগোল, কোনও কিছুই এসে পৌঁছতে পারে না৷ কী অপরিসীম রিলিভড লাগে এই সময় মুহূর্তটাতে ওর৷ মনে মনে ও কৃতজ্ঞ বোধ করে ওর কোম্পানির কাছে৷ বছরে টেন ল্যাকের প্যাকেজ, যার জন্যে স্পটলেস অ্যান্ড স্মুদ লাইফ, বেসমেন্ট গ্যারেজে রাখা অডি, ফার্নিশড ফ্ল্যাট, আর এই অতিদানবিক উচ্চতা- সবই তো ওর কোম্পানির দান৷ বদলে শুধু তো ওকে- ভেতরে ঢুকে ওর রুমে বসতেই, ওর ইমিডিয়েট জুনিয়র কোহলি এসে দাঁড়াল দরজায়৷ -মে আই, স্যার? -ও ইয়েস, প্লিজ৷ -মি. কুলকার্নি আপনাকে এক বার ডাকছেন স্যার৷ -কেন, মিটিং তো অনেক পরে হবার কথা৷ -তা জানি না, উনি আপনাকে এক্ষুনি ডাকছেন৷ -আচ্ছা তুমি যাও, আমি আসছি৷ -ওকে স্যার৷ একটু ফ্রেশ হয়ে নিতে টয়লেটে ঢুকল জয়ব্রত৷ মুখে সামান্য জলের ঝাপটা দিয়ে আয়নায় মুখটা দেখতে পেতেই ফের বিসদৃশ লাগল ওর৷ বাঁ চোখের জায়গায় গর্তটা বড়ো প্রকট হয়ে জানান দিচ্ছে৷ আই বল নেই, মণি নেই, শুধু কালো একটা গহ্বর৷ দেখতে অবশ্য অসুবিধা হচ্ছে না, কারণ ডান চোখটা তো আছেই৷ কিন্তু গত পরশু থেকে এই অস্বস্তিটা বয়ে বেড়াচ্ছে জয়ব্রত৷ না, ব্যথা-বেদনা নেই কিছু৷ কিন্তু মুখটা একটা চোখ ছাড়া কী রকম বিসদৃশ লাগে না? অবশ্য অস্বস্তিটা সয়ে যাবে বোধ হয়৷ দু'হাতেও তো দুটো দুটো করে আঙুল নেই ওর৷ কনিষ্ঠা আর অনামিকা৷ দুই হাতের চেটো থেকেই ওটা কেটে নিয়েছে কোম্পানি৷ কারণ, ও দুটোর তো কোনও প্রয়োজন নেই৷ ফলে আননেসেসারি ওগুলো হাতের তেলোয় ঝুলিয়ে রাখারও কোনও মানে হয় না৷ চোখও তো সে রকমই৷ দুটো থাকার দরকার কী? গত সপ্তাহে ওভারইয়ার পারফরমান্সে জয়ব্রত 'এক্সেলেন্ট' ক্যাটিগরির ইনক্রিমেন্ট অ্যাচিভ করেছে৷ তখনই কোম্পানি খুবলে নিয়েছে ওর বাঁ চোখটা৷ মানে খুবলে নিয়েছে বলাটা অবশ্য ঠিক নয়৷ কারণ, যে নিপুণ অপারেশনে এই অফিসে অঙ্গচ্ছেদ করা হয় তাতে কোনও কর্মীরই কোনও প্রবলেম হয় না৷ অন্তত হয়নি এ যাবত্৷ তবে জয়ব্রত-র দেহাংশ দান এই অফিসে ম্যাক্সিমাম৷ কারণ কোম্পানির প্রত্যেকটা লেভেলে ওর নাম এখন আলোচিত, জানে ও৷ ওর বস, মি. কুলকার্নি, যার ঘরে ও যাবে এখন, তার কাছেই শুনেছে ও, সিইও পর্যন্ত ছড়িয়েছে ওর সৌরভ৷ তার ফলে অ্যাসোসিয়েট থেকে সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট, সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট থেকে ম্যানেজার হয়ে উঠতে ওর লেগেছে মাত্র কয়েক বছর৷ সুতরাং হাতের আঙুল, চোখ, দুটো কানের দুটো পাটা অবলীলায় দিয়ে দিতে কোনও হেজিটেট করেনি ও৷ ল্যাপটপে মগ্ন কুলকার্নির চোখ৷ জয়ব্রত দাঁড়াতেও চোখ সরল না৷ ওই ভাবেই বলল- এসো জয়৷ প্লিজ কাম ইন অ্যান্ড সিট৷ সপ্রতিভ ভাবে জয়ব্রত ওর গা এলিয়ে দিল নরম চেয়ারটায়৷ কুলকার্নি তবু নীরব৷ ল্যাপটপ থেকে চোখ সরাচ্ছে না৷ কী আর করা! অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর বলে কথা৷ তা ছাড়া, সিঙ্গাপুরের কনফারেন্সটা নিয়েই কথা হবে, বলাই বাহুল্য৷ জয়ব্রত তাই ফাইল-টাইল নিয়ে রেডি হয়েই এসেছে৷ শুধু টাইমটা যা এগিয়ে এল দু'ঘণ্টা৷ এবং তারও নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে৷ কুলকার্নি বিনা কারণে বাতকম্মও করে না৷ কিন্তু আজ, এখন অপেক্ষাটা একটু বেশিই হচ্ছে বোধ হয়৷ চার মিনিট হয়ে গেল৷ কোনও কথা নেই৷ জয়ব্রত গলা খাঁকারি দিল৷ নড়ে বসল কুলকার্নি৷ চোখ অবশ্য ল্যাপটপে অনড়৷ -এক সেকেন্ড, জয়৷ প্লিজ৷ আরও ঠিক পাক্কা তিন মিনিট পর এন্টার কি-তে একটা সজোরে পুশ করে কুলকার্নি পিঠ এলিয়ে দিল চেয়ারে৷ তার পর সোজা চোখে তাকাল জয়ব্রত-র দিকে৷ অর্থাত্ কাজটা ওর সমাধা হয়েছে৷ -এক্সকিউজ মি স্যার, আপনি কি সিঙ্গাপুরের কনফারেন্সটা নিয়ে- -ও শিওর৷ অবশ্যই৷ ওটার জন্যই ডাকা হয়েছে তোমায়৷ -আমার প্রজেক্ট রেডি স্যার- হাতের ফাইলটা বাড়িয়ে ধরে জয়ব্রত৷ -সরি ইয়ং ম্যান, এক্সট্রিমলি সরি৷ ওটার আর কোনও প্রয়োজন হবে না৷ কোম্পানি পুরনো প্ল্যানিংটা পুরো ডিলিট করে দিচ্ছে৷ এইমাত্র সিইও-র সঙ্গে আমার কথা হল৷ -ও, তা হলে কি আমি নতুন করে তৈরি করব প্রজেক্ট? -ওহ্ নো৷ এ বারে প্রজেক্ট আমি তৈরি করব৷ প্ল্যানিং সিইও স্বয়ং করেছেন৷ আমাদের সিঙ্গাপুরের ব্রাঞ্চের একটা বড়ো রকমের রদবদল ঘটানো হচ্ছে৷ এক জন নতুন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টরের কথা ভাবা হয়েছে, যে নিজে উপস্থিত থেকে কনফারেন্সটা শুধু প্রোগ্রামিং করবে তাই নয়, এখন থেকে সে-ই হবে ওই অফিসের ইন-চার্জ৷ ফলো? -ওকে স্যার৷ আমার কাজটা তা হলে কী? -সবটা শোন৷ ওই নতুন অ্যাডিশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কিন্তু নিযুক্ত হচ্ছে এই অফিস থেকেই৷ বুঝতে পেরেছ? -শিওর স্যার৷ কনগ্র্যাচুলেশনস টু ইউ ফর জয়েনিং দ্য নিউলি ক্রিয়েটেড পোস্ট অব অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর৷ জয়ব্রত উঠে দাঁড়িয়ে করমর্দনের জন্যে হাত বাড়াল৷ কিন্তু কুলকার্নি বাড়াল না৷ বরং ওর ঠোঁট মৃদু হাসি৷ কেন? -ইয়ং ম্যান, কনগ্র্যাচুলেশন জানানোর কথা আমার৷ কারণ সিইও হিমসেলফ ওই পোস্ট-এর জন্য তোমার, তোমার নাম রেকমেন্ড করেছেন৷ সো- ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ল জয়ব্রত৷ কী বলছে কুলকার্নি? সে হবে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর! তাও সিঙ্গাপুরের ব্রাঞ্চে! ও ডে-ড্রিমিং করছে না তো? -খুব অবাক হয়ে গেছ তো জয়! ন্যাচারালি৷ হবারই কথা৷ আসলে কোম্পানি তোমার পারফরমেন্সে এতটাই স্যাটিসফায়েড যে- যাকগে, ডোন্ট বি ইমোশনাল৷ সামনের সপ্তাহেই তোমার জয়েনিং৷ তৈরি হয়ে নাও৷ -কিন্তু স্যার- -ওহ হো, এর মধ্যে আবার কিন্তু কীসের? এখন যা পাচ্ছ তার প্রায় চার গুণ স্যালারি, ডলার পেমেন্ট, তা ছাড়া গাড়ি-ফ্ল্যাট-আদার্স ফেসিলিটিজ তো থাকছেই- -না মানে, আমার ঠিক- -বিশ্বাস হচ্ছে না৷ এই তো? দাঁড়াও৷ ল্যাপটপে আঙুল চালিয়ে আবার এন্টার কি-তে পুশ করল কুলকার্নি৷ আর, ধীরে, প্রিন্টার থেকে বেরিয়ে এল একটা কাগজ৷ -নাও, ধরো৷ পড়ো, কী লেখা আছে এতে! কাগজটা এক চোখ দিয়ে পড়তে পড়তে কী রকম অদ্ভুত লাগছিল জয়ব্রতর৷ সত্যি! তার এই মাত্র একত্রিশ বছর বয়সে, সে পৌঁছে গেল এত বড়ো একটা জায়গায়! আনইম্যাজিনেবল্! -আপনি স্যার, সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন না! -নো, কারণ... কোম্পানি আমাকে ডিরেক্টর হিসাবে পোস্টিং দিচ্ছে নেক্সট মান্থ থেকেই৷ সুতরাং বুঝতেই পারছ- -অবশ্যই স্যার৷ কনগ্র্যাচুলেশনস- -থ্যাঙ্ক ইউ৷ যাকগে, যেটা বললাম, ইমিডিয়েটলি প্রিপারেশন নিয়ে নাও৷... ও হ্যাঁ, একটা কথা, যাবার আগে তোমার একটা ছোট্টো অপারেশন আছে- -শিওর৷ এ বারে স্যার কী চাইছে কোম্পানি? -তেমন কিছু না৷ জাস্ট ইওর পেনিস অ্যান্ড টেস্টিকল্স৷ -স্যার- ইলেকট্রিক শক খাবার মতো চমকে দাঁড়িয়ে পড়ে জয়ব্রত৷ অজান্তেই হাত চলে যায় নিজের পুরুষাঙ্গে- কী বলছেন স্যার! কোম্পানি আমার... কিন্তু আমার লাইফ তো শুরুই হয়নি তেমন করে... এরই মধ্যে- -তো? - এ রকম একটা ইমপর্ট্যান্ট অর্গ্যান কোম্পানি কেড়ে নিতে চাইছে- -ডোন্ট গেট ইমোশনাল অ্যান্ড ডোন্ট টক সিলি৷ কেড়ে নিতে চাইছে মানে? কেউ তোমায় জোর করছে নাকি? তোমার প্রবলেম থাকলে তুমি দিও না৷ সে ক্ষেত্রে কোম্পানি অন্য কাউকে চুজ করবে; তোমার বদলে অন্য কেউ অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হবে৷ তা ছাড়া এটা এমন কী ব্যাপার, জয়? গত বছর আমাদের ওয়ান অব দ্য ডিরেক্টরস তাঁর হার্টটা দিয়ে দিয়েছেন কোম্পানিকে- সো? তাঁর বেঁচেবর্ত্তে থাকবার কি খুব অসুবিধা হচ্ছে? -কিন্তু স্যার, ওটা না থাকলে তো আমি ম্যান-ই থাকব না- ইউনাক হয়ে যাব- -কাম অন জয়! এই সব ভেগ কথাবার্তা না, এই সেঞ্চুরিতে জাস্ট মানায় না, বুঝলে মানায় না৷ আ ম্যান শুড বি নোন বাই হিজ ওয়ার্কিং আউটপুট, নট বাই হিজ অর্গ্যানস্! যার ওয়ার্কিং আউটপুট জিরো, সেই তো ইউনাক! ওয়েল, কী করবে না করবে দ্যাটস ইয়োর ডিসিশন! একটা ঝিম ধরা ঘোর নিয়ে উঠে দাঁড়াল জয়ব্রত৷ কনফিউজড, কনফিউজড৷ এত কাছে এসে ফসকে যাবে এত দামি অফারটা! শুধুমাত্র- কিন্তু না, তার শরীরের এত দামি বস্তুটা দিয়ে দেওয়া তো সম্ভব নয়৷ দরজার দিকে পা বাড়াল জয়ব্রত৷ -এক মিনিট জয়! কুলকার্নি উঠে দাঁড়িয়েছে- একটা জিনিস দেখবে? ধীর পায়ে এগিয়ে এল কুলকার্নি জয়ব্রত-র দিকে৷ কী দেখাবে ও? স্যাক লেটার? যাতে লেখা থাকবে 'ইউ আর ফায়ার্ড?' ওহ্ নো, আর ভাবতে পারছে না জয়ব্রত৷ এগারো তলা থেকে সোজা মাটিতে! কুলকার্নি এখন জয়ব্রত-র মুখোমুখি দাঁড়িয়ে৷ ওর চোখে স্থির চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে৷ তাকিয়ে থাকতে থাকতে জয়ব্রত টের পেল, কুলকার্নির হাত ওর হাতটা তুলে নিয়ে স্থাপন করছে কুলকার্নিরই প্যান্টের জিপারের ওপর৷ ত্রস্তে হাত সরিয়ে নিতে গেল জয়ব্রত৷ কিন্তু কুলকার্নি নিজের দু'পায়ের ফাঁকে সজোরে চেপে ধরল ওর হাতটা৷ আর, অবাক, বিস্ময়ে, জয়ব্রত ওর হাতের তেলোতে কোনও প্রত্যাশিত মাংসখণ্ডের অস্তিত্ব টের পেল না৷ চমকিত হয়ে কুলকার্নির দিকে তাকাতেই মৃদু হেসে কুলকার্নি বলল, জাস্ট ওপেন ইট৷ হাঁটু মুড়ে বসল জয়ব্রত৷ উত্তেজনায়, ভয়ে থরথর করে কাঁপছে ওর হাত৷ ধীরে, কুলকার্নির প্যান্টের জিপার টেনে নামাল ও৷ তার পর অন্তর্বাস ধরে একটা টান দিতেই দেখল, রোমশ তলপেটে শুধু একটা রবারের পাইপ৷ ঈষত্ গোটানো৷ সাত দিন পরে, দিল্লিগামী ফ্লাইটের উইন্ডো সিটে বসে জয়ব্রত দেখল, ক্রমশ ছায়ার মতো মিলিয়ে যাচ্ছে নীচের পৃথিবীটা; অনেক, অনেক উঁচুতে উঠে যাচ্ছে সে৷ এখান থেকে দিল্লি, দিল্লি থেকে সোজা সিঙ্গাপুর৷ একটু ঘুমনো দরকার৷ আস্তে পিঠটা ও এলিয়ে দিল ব্যাকসিটে৷ পায়ের ওপর পা তুলে বসবার আগে, দু'পায়ের ফাঁকের রবারের পাইপটাকে সেট করে নিল হাত দিয়ে৷ নতুন লাগানো হয়েছে তো, কয়েক দিন একটু সাবধানে থাকতে হবে৷ ডাক্তার বলেছেন একটু রিস্কি৷


No comments:

Post a Comment