ধবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন দিবসটি উপলক্ষ্যে নেওয়া নানা কর্মসূচির কথা জানান। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বিশেষ অতিথি থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলবেন তারা। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী অভিবাসন মেলার উদ্বোধন করবেন অতিথিরা। এ দিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০১৪ উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘অভিবাসী ভাইবোনেরা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এ জন্য তাদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি জেনে অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অভিবাসনের ক্ষেত্রে প্রতারণারোধ, অভিবাসন ব্যয়হ্রাস, প্রশিক্ষণ, ঋণপ্রাপ্তিতে বিশেষায়িত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক গঠন, ডিজিটাল পদ্ধতি চালুসহ সেবাপ্রাপ্তি সহজকরণের মাধ্যমে অভিবাসীর অধিকার নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি বিদেশে যেতে আগ্রহী অভিবাসীদের কর্মের সুযোগ সৃষ্টিতে নতুন নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধানসহ প্রতারণারোধে আরও উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি মনেকরি বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন সাধন এবং নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি বৈদেশিক কর্মসংস্থান কার্যক্রম ত্বরান্বিত করবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘অভিবাসী কর্মীদের মর্যাদা প্রদান, তাদের অধিকার সংরক্ষণ এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘ ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করে আসছে। এ দিনে আমি প্রবাসে কর্মরত সকল বাংলাদেশী অভিবাসী ভাইবোন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘অভিবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ ও স্বার্থ সংরক্ষণ, তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ অভিবাসন ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে গত ছয় বছরে আমাদের সরকার বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।’ প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের আমলে প্রবাসীদের জন্য নেওয়া নানা উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী কর্মী আইন-২০১৩ এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি -২০১১ প্রণয়ন, জিটুজি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়াগামী কর্মীর অভিবাসন ব্যয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সামর্থের মধ্যে নিয়ে আসা, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হতে অভিবাসীকর্মীদের সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ প্রদান, অভিবাসীকর্মীদের স্বার্থরক্ষা ও সেবা প্রদানের জন্য বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইং-এ অধিক সংখ্যক জনবল পদায়ন করা হয়েছে। নতুন নতুন মিশন খোলা হচ্ছে।’ ‘এ ছাড়া ১৫টি নতুন শ্রম উইং চালু, বিদেশে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ডাটাবেজ প্রস্তুত, বিদেশগামী প্রত্যেক কর্মীকে আমরা ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ বায়োমেট্রিক ডাটাসমৃদ্ধ স্মার্টকার্ড প্রদান করা হয়েছে’ বলেও প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে উল্লেখ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অভিবাসীরা সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবেন।’ এএইচ
Thursday, December 18, 2014
‘নিরাপদ অভিবাসন-দিন বদলের লক্ষ্য অর্জন।’:Time News
ধবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন দিবসটি উপলক্ষ্যে নেওয়া নানা কর্মসূচির কথা জানান। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বিশেষ অতিথি থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলবেন তারা। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী অভিবাসন মেলার উদ্বোধন করবেন অতিথিরা। এ দিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০১৪ উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘অভিবাসী ভাইবোনেরা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এ জন্য তাদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি জেনে অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অভিবাসনের ক্ষেত্রে প্রতারণারোধ, অভিবাসন ব্যয়হ্রাস, প্রশিক্ষণ, ঋণপ্রাপ্তিতে বিশেষায়িত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক গঠন, ডিজিটাল পদ্ধতি চালুসহ সেবাপ্রাপ্তি সহজকরণের মাধ্যমে অভিবাসীর অধিকার নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি বিদেশে যেতে আগ্রহী অভিবাসীদের কর্মের সুযোগ সৃষ্টিতে নতুন নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধানসহ প্রতারণারোধে আরও উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি মনেকরি বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন সাধন এবং নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি বৈদেশিক কর্মসংস্থান কার্যক্রম ত্বরান্বিত করবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘অভিবাসী কর্মীদের মর্যাদা প্রদান, তাদের অধিকার সংরক্ষণ এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘ ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করে আসছে। এ দিনে আমি প্রবাসে কর্মরত সকল বাংলাদেশী অভিবাসী ভাইবোন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘অভিবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ ও স্বার্থ সংরক্ষণ, তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ অভিবাসন ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে গত ছয় বছরে আমাদের সরকার বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।’ প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের আমলে প্রবাসীদের জন্য নেওয়া নানা উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী কর্মী আইন-২০১৩ এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি -২০১১ প্রণয়ন, জিটুজি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়াগামী কর্মীর অভিবাসন ব্যয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সামর্থের মধ্যে নিয়ে আসা, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হতে অভিবাসীকর্মীদের সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ প্রদান, অভিবাসীকর্মীদের স্বার্থরক্ষা ও সেবা প্রদানের জন্য বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইং-এ অধিক সংখ্যক জনবল পদায়ন করা হয়েছে। নতুন নতুন মিশন খোলা হচ্ছে।’ ‘এ ছাড়া ১৫টি নতুন শ্রম উইং চালু, বিদেশে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ডাটাবেজ প্রস্তুত, বিদেশগামী প্রত্যেক কর্মীকে আমরা ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ বায়োমেট্রিক ডাটাসমৃদ্ধ স্মার্টকার্ড প্রদান করা হয়েছে’ বলেও প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে উল্লেখ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অভিবাসীরা সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবেন।’ এএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment