হুমকি দিচ্ছেন। বলছেন, ‘‘আমার প্রার্থীকে ভোট দিলে এলাকার উন্নয়ন হবে। ভোট না দিলে কোনো উন্নয়ন করা হবে না। উন্নয়নের বরাদ্দ কেটে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে।’’ একটি পথসভায় তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দিলে ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া’র প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম চলাকালে নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলকও উদ্বোধন করছেন। বিরোধী নেতা-কর্মীদের নিপীড়ন ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনই অভিযোগ করেছেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদ্য মৃত্যুবরণকারী উপজেলা চেয়ারম্যান আহমেদুল হক চৌধুরীর বড় ছেলে মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী। একই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল ও বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহিন চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আখতার কামাল আজাদও। নির্বাচনী এলাকা ঘুরেও এসব অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। সাধারণ মানুষ এই উপ-নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়েই শংকিত হয়ে পড়েছেন। ভোটারদের অভিযোগ, সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা যে এলাকাতেই যাচ্ছেন সেখানেই ভোটারদের মাঝে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। কোনো কোনো এলাকায় প্রকাশ্যেই পথসভায় ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ‘নির্দেশ’ দেয়া হচ্ছে। শুধু এখানেই থেমে থাকছেন না তারা। পথসভাতেই বলা হচ্ছে, ‘আপনাদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই, আমরা ভোট কেটে নেবো’। বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী নতুন বার্তাকে বলেন, “সরকার দলীয় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা প্রকাশ্যেই আমার নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকির পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই নাজেহাল করছেন। কোনো কোনো এলাকায় আমার কর্মীদের মারধরও করা হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি সমর্থিত প্রার্থী ও তার হয়ে সংসদ সদস্য কমলও নানাভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। প্রতিটি পথসভায় এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল তার প্রার্থীকে ভোট দিলে ‘উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে’ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তিনি নির্বাচনী এলাকাতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন করছেন। মাহিন চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘এমপি তার ও সরকারের প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ দিয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীদের নাজেহাল করছেন। রাতে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে ফেরার পথে পুলিশ সদস্যরা তার নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রায়ই চেষ্টা করছেন, কিন্তু নেতা-কর্মীদের চাপের মুখে আবার ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।’’ তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার জন্য এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মাহিন চৌধুরী নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেছেন, ‘‘সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণ হলে ৭০ শতাংশ ভোট আমার পক্ষেই যাবে, ইনশাআল্লাহ।’’ কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজলও একই ধরনের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘সরকারি দলের সাংসদ হিসেবে কমল আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কাজ করতেই পারেন না। অথচ তিনি প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবেই নির্বাচনকে শংকিত করে তুলছেন। যা কারো জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।’’ বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আখতার কামাল আজাদ অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘এমপি কমলের প্রভাবেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রামু উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ভোটারদের মাঝে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘রাজারকুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাফর আলম চৌধুরী প্রকাশ্যেই ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যেতে নিষেধ করেছেন। জাফর আলম চৌধুরী নিজেই ভোট ছিঁড়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।’’ বিএনপি নেতা আখতার কামাল আজাদ বলেন,‘‘নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা সরকারি দলের এসব নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেখেও না দেখার ভার করে চলছেন।’’ তিনি অভিযোগ করেন, “‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা রাতের আঁধারে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছেন। কোনো কোনো এলাকায় পোস্টারের উপর পোস্টার লাগাচ্ছেন। তারা ২০ থেকে ২৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোট ছিঁড়ে নেয়ারও অপচেষ্টার প্রকাশ্য ঘোষণা দিচ্ছেন।’’ অন্যদিকে রামু উপজেলার ফঁতেখারকুল, রশিদনগর ও রাজারকুল ইউনিয়ন ঘুরে এই ধরনের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন, ‘‘ভোট তাদের দরকার, সেটা যেভাবেই হোক, প্রয়োজনে ভোট কেটে নিয়েই তাদের প্রার্থীকে জয়ী করা হবে।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাধারণ ভোটার বলেন,‘‘মাঠে তো বিএনপির ভোট বেশি, কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তবে তো ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন না। আর আওয়ামী লীগও এটাই চাচ্ছে।’’ সাধারণ ভোটারদের দাবি, সরকার যদি সুষ্ঠ নির্বাচন চায় তাহলে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন তিনি হবেন সাধারণের প্রতিনিধি। বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহিন চৌধুরীও মনে করেন, সরকারের ভাব-মর্যাদা উজ্জল করতে হলে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উল আলমের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। এদিকে জেলা বিএনপির মুখপাত্র ও দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানিয়েছেন, অবাধ, সুষ্ঠ ও সরকার দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে যদি প্রশাসন ব্যর্থ হয় সরকার বিরোধী আন্দোলনের দাবানল কক্সবাজার থেকেই শুরু হবে। তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে প্রশাসন যেন এখনই পদক্ষেপ নেন। নতুন বার্তা/এমবি/জবা
Monday, December 15, 2014
‘আমার প্রার্থীকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বরাদ্দ বাতিল’ :Natun Barta
কক্সবাজার: রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন আগামী ২১ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনে সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ‘মহোৎসব’ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল আচরণবিধির নানা লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উল আলমের পক্ষে প্রায় প্রতিটি পথসভাতেই সাধারণ ভোটারদের কার্যত
হুমকি দিচ্ছেন। বলছেন, ‘‘আমার প্রার্থীকে ভোট দিলে এলাকার উন্নয়ন হবে। ভোট না দিলে কোনো উন্নয়ন করা হবে না। উন্নয়নের বরাদ্দ কেটে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে।’’ একটি পথসভায় তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দিলে ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া’র প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম চলাকালে নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলকও উদ্বোধন করছেন। বিরোধী নেতা-কর্মীদের নিপীড়ন ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনই অভিযোগ করেছেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদ্য মৃত্যুবরণকারী উপজেলা চেয়ারম্যান আহমেদুল হক চৌধুরীর বড় ছেলে মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী। একই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল ও বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহিন চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আখতার কামাল আজাদও। নির্বাচনী এলাকা ঘুরেও এসব অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। সাধারণ মানুষ এই উপ-নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়েই শংকিত হয়ে পড়েছেন। ভোটারদের অভিযোগ, সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা যে এলাকাতেই যাচ্ছেন সেখানেই ভোটারদের মাঝে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। কোনো কোনো এলাকায় প্রকাশ্যেই পথসভায় ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ‘নির্দেশ’ দেয়া হচ্ছে। শুধু এখানেই থেমে থাকছেন না তারা। পথসভাতেই বলা হচ্ছে, ‘আপনাদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই, আমরা ভোট কেটে নেবো’। বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী নতুন বার্তাকে বলেন, “সরকার দলীয় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা প্রকাশ্যেই আমার নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকির পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই নাজেহাল করছেন। কোনো কোনো এলাকায় আমার কর্মীদের মারধরও করা হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি সমর্থিত প্রার্থী ও তার হয়ে সংসদ সদস্য কমলও নানাভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। প্রতিটি পথসভায় এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল তার প্রার্থীকে ভোট দিলে ‘উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে’ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তিনি নির্বাচনী এলাকাতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন করছেন। মাহিন চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘এমপি তার ও সরকারের প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ দিয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীদের নাজেহাল করছেন। রাতে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে ফেরার পথে পুলিশ সদস্যরা তার নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রায়ই চেষ্টা করছেন, কিন্তু নেতা-কর্মীদের চাপের মুখে আবার ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।’’ তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার জন্য এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মাহিন চৌধুরী নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেছেন, ‘‘সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণ হলে ৭০ শতাংশ ভোট আমার পক্ষেই যাবে, ইনশাআল্লাহ।’’ কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজলও একই ধরনের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘সরকারি দলের সাংসদ হিসেবে কমল আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কাজ করতেই পারেন না। অথচ তিনি প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবেই নির্বাচনকে শংকিত করে তুলছেন। যা কারো জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।’’ বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আখতার কামাল আজাদ অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘এমপি কমলের প্রভাবেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রামু উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ভোটারদের মাঝে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘রাজারকুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাফর আলম চৌধুরী প্রকাশ্যেই ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যেতে নিষেধ করেছেন। জাফর আলম চৌধুরী নিজেই ভোট ছিঁড়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।’’ বিএনপি নেতা আখতার কামাল আজাদ বলেন,‘‘নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা সরকারি দলের এসব নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেখেও না দেখার ভার করে চলছেন।’’ তিনি অভিযোগ করেন, “‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা রাতের আঁধারে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছেন। কোনো কোনো এলাকায় পোস্টারের উপর পোস্টার লাগাচ্ছেন। তারা ২০ থেকে ২৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোট ছিঁড়ে নেয়ারও অপচেষ্টার প্রকাশ্য ঘোষণা দিচ্ছেন।’’ অন্যদিকে রামু উপজেলার ফঁতেখারকুল, রশিদনগর ও রাজারকুল ইউনিয়ন ঘুরে এই ধরনের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন, ‘‘ভোট তাদের দরকার, সেটা যেভাবেই হোক, প্রয়োজনে ভোট কেটে নিয়েই তাদের প্রার্থীকে জয়ী করা হবে।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাধারণ ভোটার বলেন,‘‘মাঠে তো বিএনপির ভোট বেশি, কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তবে তো ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন না। আর আওয়ামী লীগও এটাই চাচ্ছে।’’ সাধারণ ভোটারদের দাবি, সরকার যদি সুষ্ঠ নির্বাচন চায় তাহলে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন তিনি হবেন সাধারণের প্রতিনিধি। বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহিন চৌধুরীও মনে করেন, সরকারের ভাব-মর্যাদা উজ্জল করতে হলে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উল আলমের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। এদিকে জেলা বিএনপির মুখপাত্র ও দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানিয়েছেন, অবাধ, সুষ্ঠ ও সরকার দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে যদি প্রশাসন ব্যর্থ হয় সরকার বিরোধী আন্দোলনের দাবানল কক্সবাজার থেকেই শুরু হবে। তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে প্রশাসন যেন এখনই পদক্ষেপ নেন। নতুন বার্তা/এমবি/জবা
হুমকি দিচ্ছেন। বলছেন, ‘‘আমার প্রার্থীকে ভোট দিলে এলাকার উন্নয়ন হবে। ভোট না দিলে কোনো উন্নয়ন করা হবে না। উন্নয়নের বরাদ্দ কেটে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে।’’ একটি পথসভায় তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দিলে ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া’র প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম চলাকালে নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলকও উদ্বোধন করছেন। বিরোধী নেতা-কর্মীদের নিপীড়ন ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনই অভিযোগ করেছেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদ্য মৃত্যুবরণকারী উপজেলা চেয়ারম্যান আহমেদুল হক চৌধুরীর বড় ছেলে মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী। একই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল ও বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহিন চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আখতার কামাল আজাদও। নির্বাচনী এলাকা ঘুরেও এসব অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। সাধারণ মানুষ এই উপ-নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়েই শংকিত হয়ে পড়েছেন। ভোটারদের অভিযোগ, সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা যে এলাকাতেই যাচ্ছেন সেখানেই ভোটারদের মাঝে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। কোনো কোনো এলাকায় প্রকাশ্যেই পথসভায় ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ‘নির্দেশ’ দেয়া হচ্ছে। শুধু এখানেই থেমে থাকছেন না তারা। পথসভাতেই বলা হচ্ছে, ‘আপনাদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই, আমরা ভোট কেটে নেবো’। বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী নতুন বার্তাকে বলেন, “সরকার দলীয় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা প্রকাশ্যেই আমার নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকির পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই নাজেহাল করছেন। কোনো কোনো এলাকায় আমার কর্মীদের মারধরও করা হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি সমর্থিত প্রার্থী ও তার হয়ে সংসদ সদস্য কমলও নানাভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। প্রতিটি পথসভায় এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল তার প্রার্থীকে ভোট দিলে ‘উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে’ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তিনি নির্বাচনী এলাকাতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন করছেন। মাহিন চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘এমপি তার ও সরকারের প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ দিয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীদের নাজেহাল করছেন। রাতে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে ফেরার পথে পুলিশ সদস্যরা তার নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রায়ই চেষ্টা করছেন, কিন্তু নেতা-কর্মীদের চাপের মুখে আবার ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।’’ তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার জন্য এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মাহিন চৌধুরী নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেছেন, ‘‘সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণ হলে ৭০ শতাংশ ভোট আমার পক্ষেই যাবে, ইনশাআল্লাহ।’’ কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজলও একই ধরনের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘সরকারি দলের সাংসদ হিসেবে কমল আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কাজ করতেই পারেন না। অথচ তিনি প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবেই নির্বাচনকে শংকিত করে তুলছেন। যা কারো জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।’’ বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আখতার কামাল আজাদ অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘এমপি কমলের প্রভাবেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রামু উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ভোটারদের মাঝে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘রাজারকুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাফর আলম চৌধুরী প্রকাশ্যেই ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যেতে নিষেধ করেছেন। জাফর আলম চৌধুরী নিজেই ভোট ছিঁড়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।’’ বিএনপি নেতা আখতার কামাল আজাদ বলেন,‘‘নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা সরকারি দলের এসব নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেখেও না দেখার ভার করে চলছেন।’’ তিনি অভিযোগ করেন, “‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা রাতের আঁধারে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছেন। কোনো কোনো এলাকায় পোস্টারের উপর পোস্টার লাগাচ্ছেন। তারা ২০ থেকে ২৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোট ছিঁড়ে নেয়ারও অপচেষ্টার প্রকাশ্য ঘোষণা দিচ্ছেন।’’ অন্যদিকে রামু উপজেলার ফঁতেখারকুল, রশিদনগর ও রাজারকুল ইউনিয়ন ঘুরে এই ধরনের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন, ‘‘ভোট তাদের দরকার, সেটা যেভাবেই হোক, প্রয়োজনে ভোট কেটে নিয়েই তাদের প্রার্থীকে জয়ী করা হবে।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাধারণ ভোটার বলেন,‘‘মাঠে তো বিএনপির ভোট বেশি, কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তবে তো ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন না। আর আওয়ামী লীগও এটাই চাচ্ছে।’’ সাধারণ ভোটারদের দাবি, সরকার যদি সুষ্ঠ নির্বাচন চায় তাহলে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন তিনি হবেন সাধারণের প্রতিনিধি। বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহিন চৌধুরীও মনে করেন, সরকারের ভাব-মর্যাদা উজ্জল করতে হলে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উল আলমের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। এদিকে জেলা বিএনপির মুখপাত্র ও দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানিয়েছেন, অবাধ, সুষ্ঠ ও সরকার দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে যদি প্রশাসন ব্যর্থ হয় সরকার বিরোধী আন্দোলনের দাবানল কক্সবাজার থেকেই শুরু হবে। তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে প্রশাসন যেন এখনই পদক্ষেপ নেন। নতুন বার্তা/এমবি/জবা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment