ঢাকা: দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য মঙ্গলবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দু’দিনব্যাপী সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আগামী ২৬ নভেম্বর কাঠমান্ডুর ভ্রীকুটি মণ্ডপে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় সভাগৃহে (নগর মিলনায়তন) শুরু হবে। এবার সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে 'শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আরো ঘনিষ
্ঠ সম্পর্ক'। বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। ফ্লাইটটি নেপালের স্থানীয় সময় সোয়া ৪টায় কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এক আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল ক্রাউন প্লাজা সোয়েলটি- কাঠমান্ডুতে নিয়ে যাওয়া হবে। নেপাল সফরকালে তিনি এ হোটেলে অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সার্কের অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন ও ভাষণ দিবেন। মঞ্চে আসন গ্রহণের আগে তারা ফটো সেশনে অংশ নেবেন। প্রথমদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের ফাঁকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আশরাফ ঘানি এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম-এর সাথে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একই দিন তিনি অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের সাথে হোটেল ক্রাউন প্লাজা সোয়েলটিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত ভোজসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। পরদিন ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও সার্কের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ র্রিট্রিয়েট সেশনে যোগ দিতে হেলিকপ্টারে নেপালের শীর্ষ পর্যটনকেন্দ্র ধুপিখেল যাবেন। একইদিন ধুপিখেল থেকে ফিরে তারা শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সার্কের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবনে নেপালের প্রেসিডেন্ট ড. রামবরণ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তারা নেপালের রাষ্ট্রপতির দেয়া ভোজসভায়ও যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী ২৮ নভেম্বর দুপুর ১২টা পাঁচ মিনিটে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: বাসস নতুন বার্তা/জবা
No comments:
Post a Comment