ির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে দুই ঢাকা সিটির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও দক্ষিণের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। মওদুদ আহমদ দুই সিটির বিভিন্ন কেন্দ্রের অনিয়মের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে বেশিরভাগ কেন্দ্র থেকে আমাদের পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়। এরপর কেন্দ্র দখল অবাধে ব্যালটে সিল মেরেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।’ তিনি জানান, ‘দুপুর ১২টার পর কোনো কেন্দ্রে আর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে এজেন্টরা থাকতে পারেননি। এই নির্বাচন আমরা প্রত্যাখ্যান করি।’ মওদুদ আহমদ বলেন, ‘র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মেরেছে। এই নির্বাচন কোনো নির্বাচন হয় নাই। এই মুহূর্ত থেকে আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাহার করলাম। এই নির্বাচন বর্জন করলাম।’ এ সময় নিজের চোখে দেখা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের অভিজ্ঞতা সাংবাদিকদের সামনে বর্ণনা করেন দুই প্রার্থী। মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এবং তাবিথ আউয়াল নিজেই নানা অনিয়ম তুলে ধরেন। বিএনপির ভোট বর্জনের পর বিভিন্ন কেন্দ্রে অবাধের ক্ষমতাসীনদের ব্যালটে সিল মারার খবর পাওয়া গেছে। ভোটারদের উপস্থিতিও কমে এসেছে। সংবাদ সম্মেলনে আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’র আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ, সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মাদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, গণশিক্ষা সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কবি আবদুল হাই শিকদার, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, একই অভিযোগ এনে ভোট শুরুর মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা পরই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন (চসিক) বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামে মনজুর দেওয়ান হাটের কার্যালয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলম এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি রাজনীতি থেকেও সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। সাংবাদিকদের মনজুর আলম বলেন, ‘বিগত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি কাউন্সিলর ও মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু এমন নজিরবিহীন কারচুপির ঘটনা দেখিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। একই সঙ্গে রাজনীতি থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছি। আমাকে দল থেকে যে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, প্রত্যেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এখন থেকে আমি সমাজসেবায় নিজেকে জড়িত রাখব।’ এ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সকাল ১০টার মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। এখানে জনগণের সঠিক সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটবে না। এ কারণে আমরা নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছি।’ বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীনরা দলের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারছেন। এমনই একটি কেন্দ্র দক্ষিণ পাহাড়তলী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবাই ব্যালট পেপার নিয়ে স্কুলের মাঠে বসে সিল মারছেন। এ বিষয়ে ওই কেন্দ্রর প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মুক্তাদির আলম বলেন, ‘বেশ কয়েকবার ছাত্রলীগের ছেলেদের বের করে দিয়েছি। তারা আবারো এসেছে। বার বার আসলে আমার কী করার আছে?’ তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। কোথাও কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। এ নির্বাচনে তিনিই জয়ী হবেন। জয়টা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’ তিনি উল্টো অভিযোগ করেন, নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে বিএনপির প্রার্থী এম মনজুর আলম নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে সকাল আটটায় একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। মন্তব্য
Tuesday, April 28, 2015
তিন সিটিতেই বিএনপির ভোট বর্জন:আরটিএনএন
ির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে দুই ঢাকা সিটির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও দক্ষিণের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। মওদুদ আহমদ দুই সিটির বিভিন্ন কেন্দ্রের অনিয়মের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে বেশিরভাগ কেন্দ্র থেকে আমাদের পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়। এরপর কেন্দ্র দখল অবাধে ব্যালটে সিল মেরেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।’ তিনি জানান, ‘দুপুর ১২টার পর কোনো কেন্দ্রে আর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে এজেন্টরা থাকতে পারেননি। এই নির্বাচন আমরা প্রত্যাখ্যান করি।’ মওদুদ আহমদ বলেন, ‘র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মেরেছে। এই নির্বাচন কোনো নির্বাচন হয় নাই। এই মুহূর্ত থেকে আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাহার করলাম। এই নির্বাচন বর্জন করলাম।’ এ সময় নিজের চোখে দেখা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের অভিজ্ঞতা সাংবাদিকদের সামনে বর্ণনা করেন দুই প্রার্থী। মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এবং তাবিথ আউয়াল নিজেই নানা অনিয়ম তুলে ধরেন। বিএনপির ভোট বর্জনের পর বিভিন্ন কেন্দ্রে অবাধের ক্ষমতাসীনদের ব্যালটে সিল মারার খবর পাওয়া গেছে। ভোটারদের উপস্থিতিও কমে এসেছে। সংবাদ সম্মেলনে আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’র আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ, সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মাদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, গণশিক্ষা সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কবি আবদুল হাই শিকদার, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, একই অভিযোগ এনে ভোট শুরুর মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা পরই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন (চসিক) বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামে মনজুর দেওয়ান হাটের কার্যালয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলম এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি রাজনীতি থেকেও সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। সাংবাদিকদের মনজুর আলম বলেন, ‘বিগত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি কাউন্সিলর ও মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু এমন নজিরবিহীন কারচুপির ঘটনা দেখিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। একই সঙ্গে রাজনীতি থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছি। আমাকে দল থেকে যে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, প্রত্যেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এখন থেকে আমি সমাজসেবায় নিজেকে জড়িত রাখব।’ এ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সকাল ১০টার মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। এখানে জনগণের সঠিক সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটবে না। এ কারণে আমরা নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছি।’ বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীনরা দলের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারছেন। এমনই একটি কেন্দ্র দক্ষিণ পাহাড়তলী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবাই ব্যালট পেপার নিয়ে স্কুলের মাঠে বসে সিল মারছেন। এ বিষয়ে ওই কেন্দ্রর প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মুক্তাদির আলম বলেন, ‘বেশ কয়েকবার ছাত্রলীগের ছেলেদের বের করে দিয়েছি। তারা আবারো এসেছে। বার বার আসলে আমার কী করার আছে?’ তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। কোথাও কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। এ নির্বাচনে তিনিই জয়ী হবেন। জয়টা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’ তিনি উল্টো অভিযোগ করেন, নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে বিএনপির প্রার্থী এম মনজুর আলম নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে সকাল আটটায় একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment