Saturday, June 20, 2015

বিজিবি সদস্যকে বিজিপি'র নির্যাতন:টাইমনিউজ

বিজিবি সদস্যকে বিজিপি'র নির্যাতন কক্সবাজার করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ২০ জুন, ২০১৫ ০৯:৪৫:২৩ অপহরণের চার দিনেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দেয়নি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি)। এ নিয়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে বারবার আহ্বান জানানো হলেও বিজিপি কোন সাড়া দেয়নি। উল্টো, মিয়ানমার পুলিশের হেফাজতে নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে হাতকড়া পরিয়ে রাখার ছবি প্রকাশ হয়েছে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মূলত বিজিপির মুখপত্র ‘দ্যা গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ গত বৃহস্পতিবার হাতকড়া পরিহিত বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাকের ছবিটি প্রকাশ করেছিল। সেখান থেকে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিজিবি কক্সবাজার ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, ‘বুধবার নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যাবার পর আমরা বিজিপিকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় টেকনাফ স্থলবন্দর রেষ্টহাউজে পতাকা বৈঠক হবার কথা ছিল। কিন্তু কোন কারণ না দেখিয়ে বিজিপি তা বাতিল করে দেয়। এরপর থেকে বারবার আহ্বান করা হচ্ছে পতাকা বৈঠকের। এখনো কোন সাড়া মেলেনি।’ তবে, বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল আনিসুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার মিয়ানমারের ঢেকুবনিয়ায় ৩৭ বাংলাদেশীকে ফেরত বিষয়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নায়েক আবদুর রাজ্জাকের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। বিজিপি পরবর্তীতে অপর একটি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দেবার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিজিপিকে গুরুত্ব সহকারে বলেছি। নায়েক আবদুর রাজ্জাকের নিরাপত্তার ব্যাপারেও জানিয়েছি। চিন্তার কোন কারণ নেই। খুব শীঘ্রই একটা সমাধান হয়ে যাবে।’ এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নায়েক আবদুর রাজ্জাকের দুটি ছবি প্রকাশিত হয়। একটিতে নায়েক আবদুর রাজ্জাককে হাতকড়া পরিয়ে জেনারেটরের সঙ্গে শিকলাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নায়েক রাজ্জাকের মুখে ও নাকে রক্তের দাগ রয়েছে। অপরটিতে, তার সামনে একটি বন্দুক, ২২টি গুলি, চারটি মোবাইল, একটি রাম দা, একটি চাকু, দুটি টর্চলাইটসহ বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র রাখা হয়েছে। দুটি ছবিতেই তাকে লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ‘আমরা সংবাদপত্রে দেখেছি বিজিবি বলছে নায়েক আবদুর রাজ্জাক সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে শিকল পরিহিত, নির্যাতিত ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখছি। আমরা নায়েক আবদুর রাজ্জাকের জীবন নিয়ে শংকিত।’ কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশিদ বলেন, ‘নায়েক আবদুর রাজ্জাককে অত্যাচার করা মানে পুরো বাংলাদেশকে অত্যাচার করা। দেশের পররাষ্ট্র নীতির দুর্বলতার কারণে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা ভারত ও মিয়ানমারের কাছে নির্যাতিত হচ্ছে। আমরা এর একটা সুন্দর সুরাহা চাই।’ প্রতিদিনের মতো বিজিবি’র সদস্যরা গত বুধবার সকালে দমমিয়া চেকপোস্টের বিপরীতে লালদিয়া নামক স্থানে টহল দিচ্ছিলেন। ওই সময় একদল চোরকারবারীকে ধাওয়া করে বিজিবি সদস্যরা। একপর্যায়ে চোরকারবারীরা বিজিবির আওতার বাইরে চলে যায়। এসময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশের সদস্যরা বিজিবির টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবির সদস্য বিপ্লব গুলিবিদ্ধ হন। গোলাগুলির সময় বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাক নাফ নদীতে পড়ে গেলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশের সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। এএইচ

No comments:

Post a Comment