গর্ভাবস্থায় প্যারাসিটামল সেবন নিয়ে বিতর্ক নিউজ ডেস্ক আরটিএনএন এডিনবার্গ: গর্ভাবস্থায় অনেকদিন ধরে প্যারাসিটামল খেলে সেটি জন্ম নেয়া ছেলে সন্তানের প্রজনন ক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন। এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় শুধু অতি প্রয়োজনে এবং অল্প সময়ের জন্য প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। আর যাদের বেশি সময়ের জন্য এই ব্যাথানাশ
ক ঔষধ দরকার তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া দরকার। ইঁদুরের ওপর চালানো এক গবেষণার মাধ্যমে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই তথ্য দিয়েছেন। গর্ভবতীদের জন্য ব্যাথানাশক হিসেবে প্যারাসিটামলকে সাধারণত নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ব্যাথানাশক ছাড়া জ্বরের ঔষধ হিসেবেও প্যারাসিটামল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যারা বাছ-বিচার ছাড়াই একটানা এই ঔষধ সেবন করেন, তাদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে কম মাত্রার এবং কম সময়ের জন্য প্যারাসিটামল সেবন করা যুক্তিযুক্ত। গবেষকরা বলছেন, ইঁদুরের ওপর চালানো গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেলেও মানুষের শরীরে সেটা কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। নৈতিক কারণেই একই পরীক্ষা গর্ভবতী নারীদের ওপর চালানো সম্ভব নয়। এদিকে, রয়্যাল কলেজ অব প্যাডিয়াট্রিক অ্যান্ড চাইল্ড হেলথের বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্যারাসিটামল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ এবং এটি সম্পূর্ণ বাদ দেয়া যাবে না। তবে বিতর্কটা হচ্ছে, এই ঔষধ একটানা সাতদিন সেবন করার ক্ষেত্রে। অনেক সময় একটি বা দুটি ডোজ প্যারাসিটামল জ্বর সারিয়ে তুলতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে সেটির নেতিবাচক প্রভাব হতে পারে। সেটি যাতে না হয় সেজন্য স্বল্পমাত্রার প্যারাসিটামল অনেক সময় প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে। সূত্র: বিবিসি মন্তব্য
No comments:
Post a Comment