মিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এই দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে দুটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। এছাড়া টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে নজর রেখেছি। এসব মাধ্যম থেকে তিন সিটির প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মানুষ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ভোট দিয়েছেন। এখন গণনা শেষে ফলাফল দেয়া হবে।’ এ সময় সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য সাধারণ ভোটার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান সিইসি। একই সঙ্গে সব প্রার্থীকে ফলাফল মেনে নিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করারও আহ্বান জানান তিনি। রকিবউদ্দিন বলেন, ‘আমি যে কেন্দ্রে গিয়েছি, সেখানে নিজে পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের কাছে জানতে চেয়েছি। তারা আমাকে বলেছেন- তারা কোনো ধরনের ভয়ভীতির সম্মুখীন হননি। কেউ তাদের কেন্দ্রে আসতে বাধা প্রদান করেনি।’ তিনি বলেন, ‘কতিপয় ভোটকেন্দ্রে অনভিপ্রেত ঘটনার খবর আমাদের কাছে এসেছে। তার মধ্যে দক্ষিণের ৮ নং ওয়ার্ডের কমলাপুর রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়, ৩৪ নং ওয়ার্ডের সুরিটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫৩ নং ওয়ার্ডের আশরাফ মাস্টার উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন।’ এর বাইরে এত বড় একটি নির্বাচন অথচ কোথাও বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন সিইসি। তিনি জানান, যেখানে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে নিয়মানুযায়ী ফের ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের পরও সহিংসতার বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত থাকবে। সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সহিংসতা এড়াতে আরো একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। যেহেতু নির্বাচনের পরও হামলা হয়ে থাকে, তাই তাদের সজাগ ও সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো প্রার্থী বা কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। করলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হতো।’ এ সময় গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত প্রার্থী জোনায়েদ সাকির চিঠির বিষয়ে দৃষ্টিআকর্ষণ করা হলে রকিব উদ্দিন বলেন, ‘সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ফ্যাক্স ও সরাসরি হাতে লেখা অভিযোগ এসেছে। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করছি। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সাংবাদিকদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয়নি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সকালেই এই অভিযোগ পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি তাদের নির্দেশনা পড়ে শুনিয়েছি। তবে এক সঙ্গে অনেক লোক ভীড় করলে নির্বাচনী কার্যক্রম ব্যাহত হয়।’ সেনাবাহিনী তলবের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘কেন্দ্র বন্ধ হওয়া এবং সেনাবাহিনী তলবের ভেতরে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যদি নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারে, তখন সেনাবাহিনী নামানো হয়। আজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে সেনাবাহিনী ডাকা হয়নি।’ মন্তব্য
Wednesday, April 29, 2015
নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে, দাবি সিইসির:আরটিএনএন
মিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এই দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে দুটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। এছাড়া টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে নজর রেখেছি। এসব মাধ্যম থেকে তিন সিটির প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মানুষ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ভোট দিয়েছেন। এখন গণনা শেষে ফলাফল দেয়া হবে।’ এ সময় সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য সাধারণ ভোটার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান সিইসি। একই সঙ্গে সব প্রার্থীকে ফলাফল মেনে নিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করারও আহ্বান জানান তিনি। রকিবউদ্দিন বলেন, ‘আমি যে কেন্দ্রে গিয়েছি, সেখানে নিজে পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের কাছে জানতে চেয়েছি। তারা আমাকে বলেছেন- তারা কোনো ধরনের ভয়ভীতির সম্মুখীন হননি। কেউ তাদের কেন্দ্রে আসতে বাধা প্রদান করেনি।’ তিনি বলেন, ‘কতিপয় ভোটকেন্দ্রে অনভিপ্রেত ঘটনার খবর আমাদের কাছে এসেছে। তার মধ্যে দক্ষিণের ৮ নং ওয়ার্ডের কমলাপুর রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়, ৩৪ নং ওয়ার্ডের সুরিটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫৩ নং ওয়ার্ডের আশরাফ মাস্টার উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন।’ এর বাইরে এত বড় একটি নির্বাচন অথচ কোথাও বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন সিইসি। তিনি জানান, যেখানে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে নিয়মানুযায়ী ফের ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের পরও সহিংসতার বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত থাকবে। সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সহিংসতা এড়াতে আরো একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। যেহেতু নির্বাচনের পরও হামলা হয়ে থাকে, তাই তাদের সজাগ ও সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো প্রার্থী বা কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। করলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হতো।’ এ সময় গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত প্রার্থী জোনায়েদ সাকির চিঠির বিষয়ে দৃষ্টিআকর্ষণ করা হলে রকিব উদ্দিন বলেন, ‘সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ফ্যাক্স ও সরাসরি হাতে লেখা অভিযোগ এসেছে। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করছি। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সাংবাদিকদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয়নি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সকালেই এই অভিযোগ পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি তাদের নির্দেশনা পড়ে শুনিয়েছি। তবে এক সঙ্গে অনেক লোক ভীড় করলে নির্বাচনী কার্যক্রম ব্যাহত হয়।’ সেনাবাহিনী তলবের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘কেন্দ্র বন্ধ হওয়া এবং সেনাবাহিনী তলবের ভেতরে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যদি নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারে, তখন সেনাবাহিনী নামানো হয়। আজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে সেনাবাহিনী ডাকা হয়নি।’ মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment