ঁটির টারমাকে হেঁটে চলেন তখন সেখানে অন্য কোনো নারীর উপস্থিতি চোখে পড়ে না বললেই চলে। ‘যখন আমি শিশু ছিলাম দেখতাম যে পাখিরা আকাশে উড়ে বেড়ায়, আমি তখন বিমান চালাতে চেয়েছিলাম’, এএফপিকে বলছিলেন নিলুফার। ‘অনেক আফগান মেয়েরই স্বপ্ন আছে, তবে তাদের এগিয়ে চলার পথে আছে সমস্যা এবং হুমকি।’ নিলুফার কাবুলে বেড়ে উঠেছেন। ২০১০ সালে যখন তিনি বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে ভর্তি হন তখন তার স্বজনদের কাছে একথা গোপন রাখা হয়। কারণ, এদেশে এখানে নারীদের বাড়ির বাইরে যাওয়াকে ভালো চোখে দেখা হয় না। দুবছর পর তিনি আফগানিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী বৈমানিক ( স্থির-পাখার বিমানের) হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তালেবানের পতনের পর তিনিই প্রথম নারী পাইলট। তার এই অসাধারণ অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড (সাহসী নারীর পদক) প্রদান করেছে। দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ‘আফগান টপ গান’ খেতাব দেয়া হয়েছে। তালেবানের আগে কমিউনিস্ট শাসিত আফগানিস্তানেও নারী পাইলট ছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না। ১৪ বছর আগে মার্কিন আগ্রাসনে তালেবানদের পতন হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে গেছেন। এখন নারী সংসদ সদস্যসহ নিরাপত্তা বাহিনীতে তাদের উপস্থিতি সাধারণ ঘটনা। তবে নারীরা এখন ঘরের বাইরে বের হওয়ার সুযোগ পেলেও পুরষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে নারী-পুরুষে বৈষম্য রয়েই গেছে। নিলুফারকে চাকুরি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে টেলিফোন এবং চিঠি দিয়েছে তালেবানরা। ২০১৩ সালের দিকে হুককি এতোটাই বেড়ে যায় যে তিনি দুমাস দেশের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। সামরিক বিমানের গর্জনের মধ্যেই তিনি বলছিলেন, ‘তারা আমাকে এবং আমার পরিবারকে আঘাত করতে চেয়েছিল।’ ‘আমি আরো দৃঢ় হই এবং তাদের উপেক্ষা করি।’ নিজের আত্মরক্ষার জন্য সবসময় একটি পিস্তল সাথে রাখেন নিলুফার। সামরিক ঘাঁটি থেকে ইউনিফরম পরেও কখনো বের হন না তিনি, যাতে তাকে টার্গেট করা সহজ না হয়। ‘তবে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করা, কেনাকাটা করার মত সাধারণ জিনিসগুলো আর সম্ভব হচ্ছে না। আমার সব স্বাধীনতাই চলে গেছে’, আক্ষেপ করে বলছিলেন নিলুফার। বৈরি স্রোতের যাত্রী হিসেবে সামাজিক ও ধর্মীয় আচারকে সম্মান দেখিয়ে চলেন তিনি। এ কারণে কোনো পুরুষের সাথেও হ্যান্ডশেক করেন না নিলুফার। তার কথায়, তিনি কোনো ভুল সঙ্কেত পাঠাতে চান না। ২০০১ সালের পর থেকে আফগানিস্তানে নিলুফারসহ মাত্র তিন নারী বৈমানিক হয়েছেন। তবে তাদের একজন ইতোমধ্যেই চাকুরি ছেড়ে চলে গেছেন। বিমান বাহিনীতে নারী ও পুরুষ পাইলট সমান সমান হতে কতদিন লাগতে পারে জানতে চাইলে নিলুফার বলেন, ‘সহসাই সেটি হচ্ছে না। সম্ভবত ২০-৩০ বছর লেগে যাবে।’ ‘কিন্তু আমি আশাবাদী।’ সূত্র: এএফপি মন্তব্য
Wednesday, April 29, 2015
দেড় দশকে প্রথম আফগান নারী পাইলট:আরটিএনএন
ঁটির টারমাকে হেঁটে চলেন তখন সেখানে অন্য কোনো নারীর উপস্থিতি চোখে পড়ে না বললেই চলে। ‘যখন আমি শিশু ছিলাম দেখতাম যে পাখিরা আকাশে উড়ে বেড়ায়, আমি তখন বিমান চালাতে চেয়েছিলাম’, এএফপিকে বলছিলেন নিলুফার। ‘অনেক আফগান মেয়েরই স্বপ্ন আছে, তবে তাদের এগিয়ে চলার পথে আছে সমস্যা এবং হুমকি।’ নিলুফার কাবুলে বেড়ে উঠেছেন। ২০১০ সালে যখন তিনি বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে ভর্তি হন তখন তার স্বজনদের কাছে একথা গোপন রাখা হয়। কারণ, এদেশে এখানে নারীদের বাড়ির বাইরে যাওয়াকে ভালো চোখে দেখা হয় না। দুবছর পর তিনি আফগানিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী বৈমানিক ( স্থির-পাখার বিমানের) হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তালেবানের পতনের পর তিনিই প্রথম নারী পাইলট। তার এই অসাধারণ অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড (সাহসী নারীর পদক) প্রদান করেছে। দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ‘আফগান টপ গান’ খেতাব দেয়া হয়েছে। তালেবানের আগে কমিউনিস্ট শাসিত আফগানিস্তানেও নারী পাইলট ছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না। ১৪ বছর আগে মার্কিন আগ্রাসনে তালেবানদের পতন হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে গেছেন। এখন নারী সংসদ সদস্যসহ নিরাপত্তা বাহিনীতে তাদের উপস্থিতি সাধারণ ঘটনা। তবে নারীরা এখন ঘরের বাইরে বের হওয়ার সুযোগ পেলেও পুরষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে নারী-পুরুষে বৈষম্য রয়েই গেছে। নিলুফারকে চাকুরি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে টেলিফোন এবং চিঠি দিয়েছে তালেবানরা। ২০১৩ সালের দিকে হুককি এতোটাই বেড়ে যায় যে তিনি দুমাস দেশের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। সামরিক বিমানের গর্জনের মধ্যেই তিনি বলছিলেন, ‘তারা আমাকে এবং আমার পরিবারকে আঘাত করতে চেয়েছিল।’ ‘আমি আরো দৃঢ় হই এবং তাদের উপেক্ষা করি।’ নিজের আত্মরক্ষার জন্য সবসময় একটি পিস্তল সাথে রাখেন নিলুফার। সামরিক ঘাঁটি থেকে ইউনিফরম পরেও কখনো বের হন না তিনি, যাতে তাকে টার্গেট করা সহজ না হয়। ‘তবে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করা, কেনাকাটা করার মত সাধারণ জিনিসগুলো আর সম্ভব হচ্ছে না। আমার সব স্বাধীনতাই চলে গেছে’, আক্ষেপ করে বলছিলেন নিলুফার। বৈরি স্রোতের যাত্রী হিসেবে সামাজিক ও ধর্মীয় আচারকে সম্মান দেখিয়ে চলেন তিনি। এ কারণে কোনো পুরুষের সাথেও হ্যান্ডশেক করেন না নিলুফার। তার কথায়, তিনি কোনো ভুল সঙ্কেত পাঠাতে চান না। ২০০১ সালের পর থেকে আফগানিস্তানে নিলুফারসহ মাত্র তিন নারী বৈমানিক হয়েছেন। তবে তাদের একজন ইতোমধ্যেই চাকুরি ছেড়ে চলে গেছেন। বিমান বাহিনীতে নারী ও পুরুষ পাইলট সমান সমান হতে কতদিন লাগতে পারে জানতে চাইলে নিলুফার বলেন, ‘সহসাই সেটি হচ্ছে না। সম্ভবত ২০-৩০ বছর লেগে যাবে।’ ‘কিন্তু আমি আশাবাদী।’ সূত্র: এএফপি মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment